শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে গত বছর ফেসবুকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ স্ট্যাটাস দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ৬ মাস কারা ভোগকারী সেই ঝুমন দাস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে জামানত হারিয়েছেন। এমনকি নিজের কেন্দ্রেও হেরেছেন তিনি।
সেখানে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সুবল চন্দ্র দাস। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৫৫৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত রঞ্জিত দাস পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪৩ ভোট। ঝুমন পেয়েছেন ৯৬৮ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী থেকে ৬ হাজার ৫৯০ ভোট কম পেয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বিধি অনুযায়ী মোট কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
শাল্লা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, হবিবপুর ইউনিয়নে মোট প্রাপ্ত ভোট ১৬ হাজার ৪২৬। এরমধ্যে ঝুমন দাসের প্রাপ্ত ভোট ৯৬৮। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন ঝুমন দাসসহ মোট চারজন। অপর প্রার্থী রাজিব কান্তি দাস ঢোল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮৩ ভোট।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হেফাজতের ‘শানে রিসালাত’ সমাবেশে তৎকালীন আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য দেন। পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে ‘উস্কানিমূলক’ স্ট্যাটাস দেন শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস। এ ঘটনার জের ধরে উত্তেজিত হেফাজত ইসলামের স্থানীয় সমর্থকরা ১৭ মার্চ হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁওয়ে শতাধিক হিন্দু বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
উস্কানিমূলক স্ট্যাটাসের দায়ে ঝুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পাশাপাশি নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়। ঝুমন দাসসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ছয় মাস পর গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান ঝুমন। এবারের ইউপি নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি এলাকাসহ সর্বত্র আলোচনার বিষয় ছিল।